গত ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট চলার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে করা প্রায় দুই কোটি মন্তব্য বিশ্লেষণ করেছে ফিফা ও ফুটবলারদের সংগঠন, ‘ফিফাপ্রো’। সেটির ফলাফল বলছে, এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে আসরের রানার্স আপ ফ্রান্স। এরপরই অবস্থান ব্রাজিলের। বাজে মন্তব্য থেকে বেঁচে যায়নি মেসি-ডি মারিয়ারাও। বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার অবস্থান তালিকার চারে।
কাতার বিশ্বকাপ চলমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্যের স্বীকার হতে হয়েছে দলগুলোকে। টুর্নামেন্টে হওয়া নানা বাজে মন্তব্যে নজর রাখে ফিফার সোশাল মিডিয়া প্রটেকশন সার্ভিস। তারা জানায়, বিশ্বকাপে খেলোয়াড়, ম্যাচ অফিসিয়াল ও কোচদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার খারাপ মন্তব্য এসেছে।
এ নিয়ে আরও বড় পরিসরে গবেষণা করে ফিফা ও ফুটবলারদের সংগঠন ‘ফিফাপ্রো’। প্রায় ২ কোটি মন্তব্যের ওপর গবেষণায় তারা জানায়, ২ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৫টি বাজে কমেন্ট হয়েছে বিশ্বকাপে। আর ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬৯৬টি ফ্ল্যাগড কমেন্ট হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। ৬ হাজার বাজে কমেন্টের স্বীকার হয়ে এই তালিকার শীর্ষে অবস্থান টুর্নামেন্টের রানার্স আপ দল ফ্রান্সের।
৩ হাজারের বেশি বাজে কমেন্ট জুটেছে ব্রাজিলের কপালে। এরপরই অবস্থান হ্যারি কেইনের ইংল্যান্ডের। তাদের নিয়ে প্রায় ৩ হাজার কমেন্ট ট্র্যাক করেছে ফিফাপ্রো। বেঁচে যায়নি শিরোপা জয়ী আর্জেন্টিনাও। মেসিদের নিয়ে প্রায় দেড় হাজারের মতো বাজে কমেন্ট হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
আর এক হাজারের মতো বাজে মন্তব্য পেয়ে এর পরের অবস্থানে আছে রোনালদোর পর্তুগাল। গ্রুপ পর্বে সব থেকে বেশি বাজে মন্তব্য হয়েছে মেক্সিকোকে নিয়ে। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাতে না পারায় তাদের অবস্থান ক্রমেই নিচে নেমেছে। ম্যাচ হিসাবে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স-ইংল্যান্ডের ম্যাচে সব থেকে বেশি খারাপ কমেন্ট এসেছে।
হ্যারি কেইন সেই ম্যাচে পেনাল্টি মিস করায় প্রায় ১২ হাজার মন্তব্য হয়েছে। ফাইনালের ফ্রান্স-আর্জেন্টিনার ম্যাচ নিয়েও বাজে কমেন্ট পড়েছে ১২ হাজারের মতো। আর মরক্কো ও পর্তুগালের ম্যাচটিতে প্রায় ১১ হাজার কমেন্ট হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে সব থেকে বাজে মন্তব্য ধরা পড়েছে টুইটারে। ফিফার অভিযোগের পর যার ২৩ শতাংশই মুছে ফেলেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।